শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি::
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বহুল আলোচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (১৮ সেপ্টম্বার ) দুপুর আড়ায়টার দিকে জেলা শহরের রাজার মাঠ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল তাকে আটক করে। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,শহরের রাজার মাঠ এলাকায় ঘুরাঘুরি করার সময় গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ দল তাকে আটক করে, এসময় তার সাথে তার শ্যালক রাকিবসহ কয়েকজন লোক ছিলেন এবং পরে ডিবি কার্যালয়ে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে । তবে কি কারনে এবং কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে এই ব্যাপারে তথ্য জানা যায়নি। বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরো জানা গেছে, কক্সবাজারের রামু বৌদ্ধবিহারে হামলার মামলার আসামি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা তোফায়েল আহম্মদকে গত ১১ জানুয়ারি ঢাকার সুন্দরবন হোটেলের ৩১৮ নম্বর কক্ষ থেকে একটি পিবিআই দল গ্রেফতার করে এবং চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হলে এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
এই ব্যাপারে তোফায়েল আহম্মেদের শ্যালক রাকিব পাহাড়বার্তাকে বলেন, কোন কারন ছাড়াই তোফায়েলকে রাজারমাঠ এলাকা থেকে আটক করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধ জনপদে সহিংস ঘটনার নেপথ্যে সাবেক এই শিবির ক্যাডার তোফায়েল এর ভূমিকা রয়েছে বলে প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। তোফায়েল আহমদ ওই সহিংসতায় অভিযুক্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। ওই সময় উপজেলা পরিষদের সভায় চেয়ারম্যান হিসেবে পরপর তিনবার অনুপস্থিত থাকার কারণে তৎসময়ে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অপসারণও করা হয়।
পরে উচ্চ আদালতে আপিল করে তিনি এলাকায় আসেন। এর মধ্যে রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ও বসতিতে হামলার তদন্তে জড়িত হিসেবে শনাক্ত হওয়া দুই শতাধিক ব্যক্তির মধ্যে সবার ওপরে উঠে এসেছে এইট খুনের মামলার আসামি জামায়াত নেতা তোফায়েল আহমদের নাম। এরপর ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শহরে জামায়াত-শিবির ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়।
পাঠকের মতামত